জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। পরে এসব তথ্য জাদুঘরে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

সোমবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত আলোচনায় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ কথাগুলো বলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, নাগরিকদের ডিজিটাল–পদ্ধতিতে সেবা দিতে জেলা প্রশাসকদের কাজ করতে হবে। নাগরিক সেবা দিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার দুর্নীতি প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

গুজবের ব্যাপকতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, অবাধ তথ্যপ্রবাহের এই যুগে গুজব প্রতিরোধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্পর্শকাতর বিষয়ে বেশি পরিমাণে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুজব প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

ইন্টারনেটের দাম কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবসায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে সরকার কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো.

মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম উপদ ষ ট মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ