Samakal:
2025-08-01@21:59:35 GMT

শহীদ মিনার আমাদের অহংকার

Published: 17th, February 2025 GMT

শহীদ মিনার আমাদের অহংকার

ভাষা আন্দোলনের অমর  স্মৃতি শহীদ মিনার। বছরজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি পড়ে থাকে অযত্ন-অবহেলায়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসকে সামনে রেখে বগুড়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনার ঈশ্বরদী, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন ইউনিটের সুহৃদরা শহীদ মিনারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন

সরকারি আজিজুল হক কলেজ
আব্দুর রউফ 
ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য শুধু একটি ক্যালেন্ডারের মাস নয়– আমাদের গৌরব, ইতিহাস ও আত্মত্যাগের মাস। শহীদদের প্রতি সম্মান, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতীক হলো শহীদ মিনার। 
উত্তরবঙ্গের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি আজিজুল হক কলেজের শহীদ মিনার দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ধুলাবালি, ময়লা, গাছের শুকনো পাতা জমে অযত্নে পড়েছিল। ভাষাশহীদদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানাতে সুহৃদ সমাবেশ সরকারি আজিজুল হক কলেজ ইউনিটের নতুন কমিটি গঠনের পর প্রথম কাজ হিসেবে শহীদ মিনার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেন নবগঠিত কমিটির সুহৃদ– আবু সাঈদ মিয়া, হৃদয় হোসেন, আব্দুর রউফ, সানজিদা আক্তার, সারজেল হোসেন, মুইন ইসলাম, সোহেল রানা, পারভেজ আলী, রিশান আফ্রিদি, সুমাইয়া জাহান নিপুণ, শ্রুতি রহমান, দেবাশীষ সরকার, সাদিয়া আক্তার, হোসনে আরা, সাদিয়া সাবা, কোরআতুল আইন প্রমুখ।     
কর্মসূচি সম্পর্কে সুহৃদরা বলেন, ‘কলেজে ভবিষ্যতেও শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। শহীদ মিনার শুধু একটি স্থাপনা নয়, আমাদের আত্মপরিচয়ের প্রতীক।  সারাবছর পরিচ্ছন্ন ও সম্মানজনক রাখা আমাদের দায়িত্ব।’
সুহৃদ সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া

কিশোরগঞ্জ
মোস্তফা কামাল
কিশোরগঞ্জ আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে সুহৃদরা। ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কর্মসূচি জাতীয় সংগীত ও শপথ পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেয়। সমন্বয় করেন জেলা সুহৃদ সভাপতি স্বপন কুমার বর্মণ। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শহীদ মিনারের পবিত্রতা ও মাহাত্ম্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন শোকরানা। সুহৃদদের দেখিয়ে দেওয়া পথে সারাবছর নিজেদের শহীদ মিনার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান। এ সময় জেলা সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্টা ও সমকালের কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা কামালও উপস্থিত ছিলেন। 
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, কিশোরগঞ্জ

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ আম দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ