ভাষা আন্দোলনের অমর স্মৃতি শহীদ মিনার। বছরজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি পড়ে থাকে অযত্ন-অবহেলায়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসকে সামনে রেখে বগুড়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনার ঈশ্বরদী, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন ইউনিটের সুহৃদরা শহীদ মিনারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন
সরকারি আজিজুল হক কলেজ
আব্দুর রউফ
ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য শুধু একটি ক্যালেন্ডারের মাস নয়– আমাদের গৌরব, ইতিহাস ও আত্মত্যাগের মাস। শহীদদের প্রতি সম্মান, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতীক হলো শহীদ মিনার।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি আজিজুল হক কলেজের শহীদ মিনার দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ধুলাবালি, ময়লা, গাছের শুকনো পাতা জমে অযত্নে পড়েছিল। ভাষাশহীদদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানাতে সুহৃদ সমাবেশ সরকারি আজিজুল হক কলেজ ইউনিটের নতুন কমিটি গঠনের পর প্রথম কাজ হিসেবে শহীদ মিনার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেন নবগঠিত কমিটির সুহৃদ– আবু সাঈদ মিয়া, হৃদয় হোসেন, আব্দুর রউফ, সানজিদা আক্তার, সারজেল হোসেন, মুইন ইসলাম, সোহেল রানা, পারভেজ আলী, রিশান আফ্রিদি, সুমাইয়া জাহান নিপুণ, শ্রুতি রহমান, দেবাশীষ সরকার, সাদিয়া আক্তার, হোসনে আরা, সাদিয়া সাবা, কোরআতুল আইন প্রমুখ।
কর্মসূচি সম্পর্কে সুহৃদরা বলেন, ‘কলেজে ভবিষ্যতেও শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। শহীদ মিনার শুধু একটি স্থাপনা নয়, আমাদের আত্মপরিচয়ের প্রতীক। সারাবছর পরিচ্ছন্ন ও সম্মানজনক রাখা আমাদের দায়িত্ব।’
সুহৃদ সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া
কিশোরগঞ্জ
মোস্তফা কামাল
কিশোরগঞ্জ আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে সুহৃদরা। ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কর্মসূচি জাতীয় সংগীত ও শপথ পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেয়। সমন্বয় করেন জেলা সুহৃদ সভাপতি স্বপন কুমার বর্মণ। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শহীদ মিনারের পবিত্রতা ও মাহাত্ম্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন শোকরানা। সুহৃদদের দেখিয়ে দেওয়া পথে সারাবছর নিজেদের শহীদ মিনার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান। এ সময় জেলা সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্টা ও সমকালের কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা কামালও উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, কিশোরগঞ্জ
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ আম দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’