সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে ৫৩০ পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন পদের পরীক্ষা। গত রোববার যানবাহন অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ক্যাটাগরির শূন্য পদে মোট ৫৩০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সাঁট–মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, মেকানিক গ্রেড বি, হিসাব সহকারী, ইনডেন্ট সহকারী ও লেজার সহকারী পদে মোট পরীক্ষার্থী ৫ হাজার ৮৪৮ জন। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, টাইম কিপার ও জব সহকারী পদে মোট পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৯৯৩ জন। একই দিন ও একই সময়ে আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে এ পদের লিখিত পরীক্ষা।

স্টোরম্যান ও অফিস সহায়ক পদে মোট পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪০২ জন। একই দিন ও একই সময়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচা হাইস্কুল কেন্দ্রে এ পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুনবিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য বিধিমালা চূড়ান্ত পিএসসির১ ঘণ্টা আগে

এ ছাড়া ক্লিনার/হেলপার ও নিরাপত্তাপ্রহরী পদে মোট পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪৯২ জন। একই দিন বেলা ২টা ৩০ মিনিট থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর স্পিডবোটচালক ও মেকানিক গ্রেড ডি পদের মোট পরীক্ষার্থী ৬৬১ জন। এই পদের পরীক্ষা ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা ৩০ মিনিট থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।

অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এ ছাড়া নিয়োগ লাভের জন্য কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন ফৌজদারি অপরাধ এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ বা যোগাযোগের চেষ্টা বা তদবির নিয়োগ লাভের অযোগ্যতা হিসেবেই শুধু বিবেচিত হবে বলে এতে সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনরোমানিয়ায় বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা, সুযোগ-সুবিধা ও আবেদনের পদ্ধতি জেনে নিন৪ ঘণ্টা আগে

২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর ৫৩০ পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর।

পরীক্ষার সূচি দেখুন এখানে।

আরও পড়ুনতিনটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পিএসসি১৮ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ক ল অ য ন ড কল জ ক ন দ র ম ট পর ক ষ র থ র পর ক ষ সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।

ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন