লিচুর রাজ্য দিনাজপুর। এ জেলার লিচু সুমিষ্ট, সুস্বাদু ও রসালো।  লিচু বাগানগুলোতে ফুল আসতে শুরু করেছে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যাচ্ছে বাগানের প্রতিটি গাছ। ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। বাগান মালিকরা আশা করছেন, চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হবে। 

কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার জেলায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হচ্ছে।

জেলার বিভিন্ন লিচু বাগান, রাস্তা ও বসত বাড়ি ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি লিচু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। লিচু গাছের গোড়ায় পানি সেচ দিচ্ছে বাগান মালিকরা। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য স্প্রে করছেন তারা। বাগান মালিকরা স্বপ্ন দেখছেন, এবার লিচুর বাম্পার ফলন হবে।

বিরামপুর পৌর এলাকার ইসলাম পাড়া গ্রামের মহির উদ্দিন বলেন, “আমার বাড়িতে একটি চায়না থ্রি জাতের লিচু গাছ আছে, বয়স প্রায় ২০ বছর হবে। প্রতি বছর পর্যাপ্ত লিচু ধরে। নিজ পরিবার খেয়েও প্রতিবেশিসহ আত্মীয় স্বজনদের বিতরণ করে থাকি। এবারও আল্লাহ দিলে প্রচুর মুকুল আসছে।আশা করছি অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভাল লিচু ধরবে।” 

হাকিমপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের লিচু বাগান মালিক আসলাম হোসেন বলেন, ”আমার চার বিঘা জমির উপর এই লিচুর বাগান। বাগানে চায়না থ্রি ও বোম্বে জাতের লিচুর গাছ আছে। প্রতিটি গাছে পর্যাপ্ত মুকুল আসতে শুরু করেছে। বাগানে পানি সেচ দিচ্ছি এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য স্প্রে ব্যবহার শুরু করেছি। আশা করছি গত বছরের চেয়ে এবারের লিচুর ভালো ফলন পাবো।” 

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.

নুরুজ্জামান বলেন, ” এবারে জেলায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হচ্ছে। এ ছাড়াও বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে লিচু গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর লিচুর মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে আছে, আশা করছি প্রতিটি গাছে লিচুর প্রচুর ফলন আসবে।”

ঢাকা/মোসলেম/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ