হেঁটে দেশ ভ্রমণে বের হয়েছেন দুই ভাই সিয়াম উদ্দিন (২১) ও সায়েম উদ্দিন (১৮)। ২২টি জেলায় ভ্রমণ শেষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁরা নাটোর শহরে পৌঁছান। সেখানকার ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে তাঁরা মুগ্ধ বলে জানিয়েছেন।

সিয়াম ও সায়েম মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের আওলিয়াচর গ্রামের শিক্ষক মাহমুদুল আলম গিয়াসের ছেলে। ২৩তম জেলা সফরে গতকাল নাটোরে পৌঁছার পর জেলার সার্কিট হাউসে ওঠেন সিয়াম ও সায়েম। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে সিয়াম বলেন, তিনি বর্তমানে একটি ফাজিল মাদ্রাসার দ্বিতীয় বর্ষে এবং তাঁর ছোট ভাই সায়েম সম্প্রতি হিফজ সম্পন্ন করেছেন। তাঁরা পবিত্র কোরআনে ভ্রমণ সম্পর্কে বর্ণিত একটি আয়াতের শিক্ষা থেকে ভ্রমণে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের বাবাও এ ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন। প্রতিটি জেলাকে নিবিড়ভাবে দর্শন করার জন্যই তাঁরা হেঁটে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন।

চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি মাদারীপুর থেকে ৬৪ জেলা ভ্রমণের যাত্রা শুরু করেন এই দুই ভাই। ইতিমধ্যে ২২টি জেলা ভ্রমণ শেষ করেছেন। নাটোরের পর তাঁরা আজ মঙ্গলবার ২৪তম জেলা হিসেবে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হবেন।

এই যাত্রায় নিজের মুগ্ধতার কথা প্রকাশ করে সিয়াম বলেন, ‘প্রতি কদমে কদমে আমরা পৃথিবীটাকে নতুন করে দেখছি। নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করছি। সত্যিই নিজ চোখে না দেখলে পৃথিবীর প্রকৃত সৌন্দর্য সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করা যাবে না।’
অন্যদিকে সায়েম বলেন, ‘দুই ভাই একসঙ্গে পৃথিবী দেখার মধ্যে আলাদা মজা আছে। এতে আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ আরও দৃঢ় হচ্ছে।’

নাটোর জেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সিয়াম ও সায়েম বলেন, এটি একটি অসাধারণ সুন্দর জেলা। জেলাটিতে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখার পাশাপাশি অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন তাঁরা। নিরাপদ ভ্রমণের জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন এই দুই ভাই।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স য় ম বল ন স ন দর ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ