সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন শাহ মালুম (র.) মাজাররের পাশে রেলক্রসিং পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রাইভেট কার ছিটকে ধানক্ষেতে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেনের ধাক্কায় কারটি দুমড়ে-মুচড়ে ধানক্ষেতে গিয়ে পড়ে। কারটিতে চালক ছাড়া কোনো যাত্রী ছিলেন না। কারচালক হোসেন আহমদ একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেনটি ওই এলাকা পার হওয়ার কয়েক মিনিট আগে প্রাইভেট কার রেলক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করে। প্রাইভেট কার রেললাইনে উঠার পর স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। চালক বারবার চেষ্টা করছিলেন স্টার্ট দেওয়ার। কিন্তু পারছিলেন না। এ সময় ট্রেনটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। আহত চালককে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

সিলেট জিআরপি থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস জানান, রেলক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই। দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব য় র অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় দুই পুলিশ সদস্যকে আসামির হাতুড়িপেটা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পুলিশ সদস্যকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছেন এক আসামি। বর্তমানে ওই আসামি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম। 

শুক্রবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর উপজেলার পালপাড়া বাজারের কাছে আসামি আসিমি আশিক (২৫) দুই পুলিশের উপর এই হাতুড়ি হামলা চালায়। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার আমলা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন আসামি আশিককে আটক করে মোটরসাইকেলে মিরপুর থানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন আমলা পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল রুস্তম আলী। থানায় যাওয়ার আগেই পালপাড়া বাজারের কাছে পৌঁছালে আশিক চিৎকার করে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন। এ সময় চালক এসআই মনিরুল গাড়ি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে মাঝে থাকা আসামি কোমর থেকে হাতুড়ি বের করে তার মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথায় থাকা হেলমেট ভেঙে যায়। এরপর মোটরসাইকেলের পেছনে বসা কনস্টেবল রুস্তম আলীর মাথায়ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। 

পরে ঘটনাস্থলে থানা-পুলিশ উপস্থিত হয়ে কনস্টেবল রুস্তমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, “একটি মামলার সন্দেহভাজন এক আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় ওই আসামি হামলা করে। এতে এক কনস্টেবল আহত হয়েছে। আসামি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ