ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি ও খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নং কক্ষে বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি পরিদর্শনের আয়োজনে এবং ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.

হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক ড. শাম্মি আখতারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া বক্তব্য দেন জাইকা-স্টির্ক প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাসামি সাকাই এবং ন্যাশনাল টিম লিডার মো. মাসুদ আলম।

এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষার্থীরা খাদ্য কারখানায় খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপসমূহে দূষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়াদি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং ও ক্যান্টিনে খাদ্যকে নিরাপদ রাখার নানান কৌশল ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বিষয়েও ধারণা লাভ করতে পারবে। এছাড়া দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। কর্মশালায় প্রকল্পের কনসালটেন্টগণ হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ নিরাপদ খাদ্যের নানাবিধ গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “হল প্রশাসন ও ডাইনিং, ক্যান্টিনের কর্মী ও বাবুর্চিদের আরো সচেতন হতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদ খাবারের বিষয়ে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে হল প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণসহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে খাদ্য বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।”

এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন হলের কর্মী ও বাবুর্চিরা অংশগ্রহণ করেছেন।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র পদ খ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ