স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্কুল অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস-এর উদ্যোগে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ১৭তম ফার্মা উইক ২০২৫ চলছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী এ ফার্মা উইক শুরু হয়। এদিন বেলুন ও পায়রা উড়ানোর মাধ্যমে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. আখতার হোসেন খান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নওজিয়া ইয়াসমিন, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হাসান কাউসার, স্কুল অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম পাঠান। এ আয়োজনের মূল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন স্কুল অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস এর উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এমএ রশিদ।   
 
এ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, পোস্টার প্রদর্শনী, ইনডোর/আউটডোর গেমস, ডিবেট, ফটো এক্সিভিশন, ফিল্ম ফেস্টিভাল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণীসহ বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল উদ্ভাবনী কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন: রুহুল কবির রিজভী

নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যদি আবার ফ্যাসিবাদের কোনোভাবে উত্থান ঘটে, তাহলে কেউ বাঁচতে পারবেন না। তাই ঐক্যের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মহান মে দিবস উপলক্ষে বরিশাল জেলা ও মহানগর শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে আয়োজিত শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন রিজভী। শোভাযাত্রাটি নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সদর রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের এসে শেষ হয়।

পালিয়ে থেকেও দেশে হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রেখেছেন শেখ হাসিনা—এমন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘২৬২ জনকে হত্যার হুমকি দিয়ে দেওয়া তাঁর বক্তব্য ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে, ভয়াবহ ওই হুমকির কণ্ঠ শেখ হাসিনারই। একটি কথা মনে রাখতে হবে—এই দেশে যদি আবারও ফ্যাসিস্ট ফিরে আসে, তাহলে কেউই রেহাই পাবে না।’ তিনি বলেন, ‘দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কথা শুনবেন না এটা হতে পারে না। শুধু উপদেষ্টাদের নিয়ে মানবিক করিডর দিতে চাইছেন। দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হতে পারে, সে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে নির্বাচিত সরকার না থাকায় ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এ অবস্থায় শেখ হাসিনার বিচার অনতিবিলম্বে সম্পন্ন করা প্রয়োজন। তা না হলে দেশে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে হবে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক, সহ–বন ও পরিবেশ সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান, সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্যসচিব শহিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ