সান্তোসে কেন ছয় মাসের চুক্তি, জানালেন নেইমার
Published: 18th, February 2025 GMT
পিএসজি ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার জুনিয়র। মেয়াদ পূর্ণ হবার আগে সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি বাতিল করে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
তবে ব্রাজিলের এই ক্লাবটির সঙ্গে মাত্র ছয় মাসের চুক্তি করেছেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। যার অর্থ আগামী গ্রীষ্মকালীন দলবদলের মৌসুমে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন তিনি।
সান্তাসের সঙ্গে অবশ্য এক বছরের ঐচ্ছিক চুক্তির শর্ত আছে। অর্থাৎ সব ঠিকঠাক গেলে, ব্রাজিলের লিগে মন বসলে তিনি আরও এক বছর থেকে যাবেন শৈশবের ক্লাবে। ফর্মে ফিরতে পারলে সান্তোসের নেইমার খেলবেন ব্রাজিলের জার্সিতে ২০২৬ বিশ্বকাপ।
নেইমার বয়স সবে ৩৩ বছর। তারপরও সান্তোসের সঙ্গে মাত্র ছয় মাসের চুক্তি কেন করেছেন নেইমার। এমন প্রশ্নে ব্রাজিলিয়ান তারকা জানিয়েছেন, তিনি সহজ করে ভাবতে চেয়েছেন। সেজন্যই এই সংক্ষিপ্ত চুক্তি।
নেইমার বলেন, ‘এই চুক্তি শুধু দুই পক্ষের (নেইমার ও সান্তোস) জন্য নয়। এটা একে অপরকে সহায়তা করার চুক্তি। সান্তোস আমার জন্য আবার আনন্দ নিয়ে ফুটবল খেলার দরজা খুলে দিয়েছে। আর আমি সান্তোসকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে চেয়েছি। লম্বা চুক্তি করিনি, কারণ জানি না সময় কেমন কাটবে, ফুটবল কতটা উপভোগ করব। এই ছয় মাসে যা কিছু ঘটতে পারে।’
নেইমার জানিয়েছেন, সান্তোসে ছয় মাসের চুক্তি করলেও এটা ছয় মাসের প্রজেক্ট নয়। দুই পক্ষেরই চুক্তি নবায়নের বিষয়টি মাথায় আছে। সান্তোস যাতে নতুন করে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ফিরতে পারে, ভালো স্পন্সর পায় সেজন্যই তিনি সান্তোসে ফিরেছেন। সান্তোস আবার শীর্ষে ফিরবে বলেও বিশ্বাস নেইমারের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল ছয় ম স র চ ক ত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’