হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের জয়মঙ্গল এলাকায় একটি ভেজাল জুস তৈরি কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় কারখানাটি সিলগালা ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল এ অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাত।

জানা গেছে, জুগলী ইউনিয়নের জয়মঙ্গল গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আজাহারুল নামে এক ব্যক্তি অনুমোদনবিহীন একটি জুস কারখানা তৈরি করে ‘ফুয়াদ ফ্রটিফু’ নামে ভেজাল জুস, আচারসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি ও বিক্রি করে আসছেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাত। 

এ সময় নকল জুস, আচারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরিসহ বিক্রির সত্যতা পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভেজাল জুস তৈরি ও বিক্রির দায়ে কারখানাটি সিলগালা ও মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ১২৩ প্যাকেট জুস জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ