খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীদের বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। কুয়েটের ঘটনায় তিনটি সংগঠন ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে পৃথক কর্মসূচি দেয়। শুরুতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীদের মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়। এ সময় দুই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ বলে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরাও ছাত্রদলের উদ্দেশে স্লোগান দিতে থাকেন।

আজ রাত সাড়ে নয়টার দিকে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল কুয়েটে তাদের দলীয় নেতা–কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে আসে। সেখানে আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিল। এরপর বৈষম্যবিরোধীরা জিরো পয়েন্টে আসেন ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, সাড়ে নয়টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা জিরো পয়েন্ট এলাকায় আসেন। সেখানে অবস্থান করা ইনকিলাব মঞ্চের দিক থেকে ‘ভুয়া’ স্লোগান দেওয়া হয়। এরপর ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। পরে ইনকিলাব মঞ্চ কর্মসূচি স্থগিত করে। কিছুক্ষণের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা এখানে উপস্থিত হন। তাঁদের সঙ্গেও ছাত্রদলের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে ছাত্রদল মিছিল নিয়ে কাটা পাহাড় সড়ক হয়ে শহীদ মিনারের সামনে চলে যায়। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জিরো পয়েন্টে কর্মসূচি পালন করে।

জানতে চাইলে ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সাধারণ সচিব এম এন উল্লাস প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। তাঁরা যখন কর্মসূচি শুরু করেন তখন আরও অনেক শিক্ষার্থী জিরো পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেই ভুয়া স্লোগান দেওয়া হয়। বিশৃঙ্খলা বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করে স্থান ত্যাগ করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, কর্মসূচিতে অবস্থান নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছে। কোনো সংঘাত হয়নি। পরে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করেছেন।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রথম আলোকে বলেন, একটি গুপ্ত সংগঠনের নেতা–কর্মীরা সাধারণের ব্যানারে এসে উসকানি দিয়েছেন। এ নিয়ে তর্ক হয়েছে। পরে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, একই জায়গায় দুই পক্ষ স্লোগান দিচ্ছিল। পরে উভয় পক্ষের যাঁরা নেতৃত্বে ছিলেন তাঁরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র কর ম দ র অবস থ ন কর ম র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা