ফেঞ্চুগঞ্জ রেলস্টেশন-সংলগ্ন শাহ মালুম (র.) মাজারের পাশের রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ধানক্ষেতে ছিটকে পড়েছে বিয়ের অনুষ্ঠানের একটি প্রাইভেটকার। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেনের ধাক্কায় কারটি দুমড়েমুচড়ে যায় ও ছিটকে গিয়ে ধানক্ষেতে পড়ে। কারটিতে চালক ছাড়া অন্য কোনো যাত্রী ছিলেন না। চালক হোসেন আহমদ একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেনটি ওই এলাকা পার হওয়ার কয়েক মিনিট আগে প্রাইভেটকারটি রেলক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করে। কারটি রেললাইনে ওঠার পর স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। চালক বারবার সেটিকে সচল করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ সময় ট্রেনটি প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনায় আহত চালককে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। 
জিআরপি থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস জানান, রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই। দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চালক আহত হয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ