রঙ বাংলাদেশ 
 ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর এবারের একুশের আয়োজনের থিম– বাংলা ভাষা ও বাংলা বর্ণমালা। হাফসিল্ক, বিভিন্ন ধরনের কটন, ভয়েল কাপড়ে স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লকপ্রিন্ট, কাটিং-সুইং ও এমব্রয়ডারি কাজে তৈরি হয়েছে পোশাকের অলংকরণ। প্রতিটি পোশাকের ডিজাইনকে নান্দনিক মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে একুশের চেতনার নানা অনুষঙ্গের সন্নিবেশে। একুশের সংগ্রহে রয়েছে– শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কামিজ, ওড়না, ব্লাউজ, আনস্টিচ ড্রেস, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট ও উত্তরীয়। ছোটদের জন্য রয়েছে– কামিজ, ফ্রক, স্কার্ট টপস সেট, পাঞ্জাবি, শার্ট ও টি-শার্ট। ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব আউটলেটেই পাওয়া যাচ্ছে একুশ উৎসবের আয়োজন। 
কে ক্র্যাফট  
 প্রতিবছরের মতো এ বছরও কে ক্র্যাফট পূর্ণ মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিশেষ পোশাকের সংগ্রহ নিয়ে এসেছে। তাদের সংগ্রহে সুতি কাপড়ের প্রাধান্য থাকবে। এ ছাড়া তাঁত, লিনেন, সিল্ক কাপড়ে তৈরি পোশাকগুলোয় নকশা ফুটিয়ে তুলতে হাতের কাজ, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি এবং টাই-ডাই মিডিয়ার দৃষ্টিনন্দন ব্যবহারে প্রতিটি পোশাককে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে শোকের কালো, সূর্যের লাল, বিষণ্নতার ধূসর, সত্য ও পবিত্রতার প্রতীক সাদার সমতলকে। এ ছাড়া থাকবে আরও কিছু নতুন রং। পরিবারের সবার উপযোগী একুশের পোশাক আয়োজন কে ক্র্যাফটের সব বিক্রয়কেন্দ্র ছাড়াও অনলাইন শপ এবং ফেসবুক পেজ থেকে অর্ডার করা যাবে। 
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এক শ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’