প্রস্তুত সালমান, পোস্টারে দিলেন অ্যাকশনের আভাস
Published: 19th, February 2025 GMT
এ বছর ঈদে বক্স অফিস জমাতে প্রস্তুত সালমান খান। ‘সিকান্দার’র নতুন পোস্টারে বলিউড ভাইজান ধরা দিলেন ভিন্ন মুডে। ভক্তদের দিয়ে রাখলেন অ্যাকশনের আভাস। বলা যায়, পুরনো সেই মারকাটারি লুকেই সিকান্দারে দেখা যাবে ভাইজানকে।
সিনেমার প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা সম্প্রতি সিকান্দারের নতুন পোস্টার প্রকাশ করেছেন, যেখানে সালমান খানকে গম্ভীর রূপে দেখা যাচ্ছে। পোস্টারটি প্রকাশের মাধ্যমে সালমানের চরিত্রের এক ঝলক ভক্তদের সামনে এসেছে, যা তাদের উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা তাঁর জন্মদিনের বিশেষ দিনে সিকান্দারের নতুন পোস্টারটি প্রকাশ করেছেন। সাজিদের প্রোডাকশন হাউজ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের প্রিয় ভক্তদের ধৈর্য আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাজি নাদিয়াদওয়ালার-এর জন্মদিন উপলক্ষে আমরা আপনাদের জন্য একটি ছোট্ট উপহার নিয়ে এসেছি। ২৭ ফেব্রুয়ারি বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে!’
এর আগে, গত বছর ২৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে আসে সিকান্দারের টিজার। ১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের টিজারটি দেখেই ভক্তরা আঁচ করে নেন যে সিনেমাটি হবে দুর্দান্ত অ্যাকশন ও ভায়োলেন্স নির্ভর।
২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো সালমান খান এবং সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা ‘কিক’ সিনেমাতে জুটি বাঁধেন। সিনেমাটি আয় করেছিলো ৩০০ কোটি রুপি। সেসময় বক্স অফিসে এটি রেকর্ড পরিমাণ আয় ছিলো। ঠিক ১০ বছর পর তারা আবারও ফিরছেন।
‘সিকান্দার’ পরিচালনা করেছেন এ আর মুরুগাদোস। সংগীত পরিচালনায় আছেন প্রীতম। এখানে সালমান খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন দক্ষিনী অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। এছাড়াও আছেন কাজল আগরওয়াল, শারমান যোশী প্রমুখ। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ঈদ-উল-ফিতরে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’