‘বিপ্লবী সরকারের’ ডাক দেয়া থেকে সরে আসলেন কাফি
Published: 19th, February 2025 GMT
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি তার ঘর পুড়িয়ে দেয়ার পর ‘বিপ্লবী সরকার’ গঠনের ডাক দেয়ার জন্য আল্টিমেটাম দেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে এসেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস, বাংলাভাষী অঞ্চলে এ দিনটি গুরুত্বপূর্ণ, তাই তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
তার ঘর পোড়ানোর মামলা দ্রুত তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিআইডি ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তবে আগামী রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী ডিসি অফিসের সামনে সংবাদ সম্মেলন করবেন কাফি।
নুরুজ্জামান কাফি সাংবদিকদের বলেন, ‘‘আমার দেয়া সাত দিনের আল্টিমেটাম শেষ হলেও কোনো সূরাহা হয়নি এবং এটা দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার জন্যই সিআইডিতে মামলা ট্রান্সফার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইনভেস্টিগেশন করা শুরু করছে সিআইডি। তাই আমি এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে আরো সময় নিয়েছি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আর মাত্র ২ দিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি। দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সবার কাছে তাই আমি আপাতত সময় নেবো। তবে আমি রবিবার পটুয়াখালীর ডিসি অফিসের সামনে আবারো সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে আপডেট দেবো।’’
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির পটুয়াখালী কলাপড়া উপজেলার রজপাড়া এলাকার গ্রামের বাড়ি গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ২টার দূর্বৃত্তরা আগুন দেয়। এতে বাড়ি পুড়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই সংবাদ সম্মেলনে করেন কাফি। এ সময় তিনি এ ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সরকারকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেন। সাত দিনের মধ্যে ঘর পুনঃনির্মাণ এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা হলে ‘বিপ্লবী সরকার’ গঠনের ডাক দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ঢাকা/ইমরান/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য স আইড সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’