বার্নাব্যুতে রিয়ালের আধিপত্য, নাকি সিটির রূপকথা
Published: 19th, February 2025 GMT
‘রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচ আধুনিক ফুটবলের ক্লাসিকো’—গত বছরের এপ্রিলে রিয়াল-সিটির কোয়ার্টার ফাইনাল সামনে রেখে কথাটা বলেছিলেন সাবেক রিয়াল কোচ হোর্হে ভালদানো। কদিন আগে সিটির বিপক্ষে প্লে-অফের প্রথম লেগের আগে একই কথা বলেছিলেন কার্লো আনচেলত্তিও। এই দশকের অন্যতম সফল দুই দলের লড়াইয়ের উত্তাপ বুঝতে এর চেয়ে বেশি সাক্ষ্যপ্রমাণের প্রয়োজন আছে কি!
আরও পড়ুনএক দিনেই মেসির তিন ছেলের হাতে ট্রফি, চিরোর অবিশ্বাস্য ‘মেসি’ গোল১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আগামী দিনগুলোয় আধুনিক ফুটবলে ধ্রুপদি লড়াইয়ের কথা বললে রিয়াল-সিটির লেখা রূপকথাগুলোর স্থান ওপরের দিকেই থাকবে। এর মধ্যে কোনো কোনো ম্যাচ সময়ের ব্যাপ্তি পেরিয়ে চিরকালীনও হয়ে গেছে। আজ রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কি তেমন কোনো ম্যাচই অপেক্ষা করছে? কবীর সুমনের গানের কথায় বললে, ‘প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও তো জানা।’
তবে ম্যাচের আগে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির খোঁচাতেই বোঝা যাচ্ছে, পেপ গার্দিওলার সঙ্গে তাঁর পুরোনো হিসাব-নিকাশগুলো চুকানো বাকি, ‘রেফারি ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজানোর আগে আমি তাকে (গার্দিওলা) জিজ্ঞেস করব—তোমাদের (ম্যান সিটির) পরের রাউন্ডে যাওয়ার ১ শতাংশও কি সম্ভাবনা আছে? সে কিন্তু আরও বেশি সম্ভাবনার কথাই জোর দিয়ে বলবে.                
      
				
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’