কিউইদের কাছে হেরে শুরু পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
Published: 19th, February 2025 GMT
পাকিস্তানের করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে উইল ইয়ং ও টম ল্যাথামের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩২০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ১৬ বল বাকি থাকতে ২৬০ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করেছে পাকিস্তান।
নতুন বলে কিউইদের চেপেই ধরেছিল পাকিস্তান। ৫ বলের ব্যবধানে ডেভন কনওয়ে (১০) ও কেন উইলিয়ামসনকে (১) তুলে নেন আবরার আহমেদ ও নাসিম শাহ। ৪০ রানে ২ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড ৭৩ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট।
ওই ধাক্কা সামলে নেন ওপেনার উইল ইয়ং ও টম ল্যাথাম। তারা চতুর্থ উইকেটে ১১৮ রানের জুটি গড়েন। দারুণ এক সেঞ্চুরি করে ফিরে যান ইয়ং। তার ব্যাট থেকে ১১৩ বলে ১০৭ রান আসে। ৩২ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির ইনিংস সাজান ১২টি চারের সঙ্গে একটি ওভার বাউন্ডারিতে।
পরে রান বাড়িয়ে নেওয়ার কাজটা করেন ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপস। ১২৫ রান যোগ করেন তারা। পাঁচে নামা উইকেটরক্ষক ব্যাটার ল্যাথাম ১০৪ বলে ১১৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ১০টি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। তিনি ওয়ানডের অষ্টম সেঞ্চুরির দেখা পান। ফিলিপস ৩৯ বলে ৬১ রান যোগ করেন। তিনটি চার এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকে।
পাকিস্তানকে অর্ডার ওলট পালট করে ব্যাটিং শুরু করতে হয়। ফখর জামান ইনজুরি নিয়ে শুরুতে উঠে যাওয়ায় ইনিংস ওপেন করতে পারেননি। তার জায়গায় নেমে সূদ শাকিল (৬) ব্যর্থ হন। তিনে নেমে রান পাননি মোহাম্মদ রিজওয়ানও (৩)। চারে নেমে ফখর খেলেন ২৪ রানের ইনিংস।
৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে আশা দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাবর আজম। তিনি ৯০ বলে ৬৪ রান করে ফেরেন। সালমান আঘা ৪২ রান যোগ করেন। পাকিস্তানের হারের ব্যবধান ছোট করেছেন খুশদীল শাহ। তিনি ৪৯ বলে ৬৯ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের ওরোরকি ও স্যান্টনার তিনটি করে উইকেট নেন।
পাকিস্তানের হয়ে নাসিম শাহ ও হারিস রউফ দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে সব বোলারই ছিলেন খরুচে। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা হারিস ১০ ওভারে ৮৩ রান দিয়েছেন। নাসিম ১০ ওভারে ৬৩ রান খরচা করেছেন। উইকেটশূন্য থাকা শাহিন শাহ আফ্রিদি ১০ ওভারে হজম করেছেন ৬৮ রান। লেগ স্পিনার আবরার কেবল ওভারপ্রতি ৫০-এর নিচে রান দিয়েছেন। তিনি ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’