বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়াস, ঢাকার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছে। বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের প্রয়াস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধে৵ পুরস্কার বিতরণ করেন প্রয়াসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১০১টি ইভেন্টে ৩০৩ শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা খেলার ইভেন্টের পাশাপাশি মার্চপাস্ট ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণ করে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুসহ একীভূত কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর উন্নতি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সুন্দর সমাজ গঠনে সবার সহযোগিতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রয়াসের সব শিক্ষার্থীকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান। প্রয়াসের বহুমুখী কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রয়াসের পৃষ্ঠপোষক সারাহনাজ কমলিকা জামান এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.

মহিউদ্দিনসহ এ প্রতিষ্ঠানের সহকারী পৃষ্ঠপোষক, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ, শিক্ষক, অভিভাবক, বিশিষ্ট ব্যক্তি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়াস, ঢাকা ২০০৬ সালে ‘সেনা সহায়ক স্কুল’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ১ হাজার ৬৮৯ শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে। বিশেষায়িত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির মৌলিক অধিকার, কল্যাণ, সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ ও একীভূত শিক্ষা বাস্তবায়ন, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ