কুয়েটের ঘটনায় স্বৈরাচারের দোসররা অনুপ্রাণিত হবে
Published: 20th, February 2025 GMT
যে কোনো মূল্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। পাশাপাশি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জোটের শীর্ষ নেতারা।
গতকাল বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদীদের নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। সবাইকে সংযত ও পরমতসহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে। তারা বলেন, কুয়েটের ঘটনায় পতিত স্বৈরাচারের দোসররা অনুপ্রাণিত হবে ও ষড়যন্ত্রের ফাঁদ বিস্তৃত করবে।
নেতারা বলেন, রাজনীতি হোক প্রকাশ্যে। কেউ যদি এটা ভেবে থাকেন– জুলাইয়ের মিত্র সাবেক ছাত্রলীগ; আর ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল জুলাইয়ের শত্রু, তাহলে তো জুলাইয়ের অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা কঠিন হয়ে যাবে। আমরা অপরাধীদের শাস্তি চাই। পাশাপাশি সহাবস্থান ও প্রগতির রাজনীতির পক্ষে। ছাত্রদলকে বাদ দিয়ে জুলাই স্বাধীনতা রক্ষা করা যাবে না। জোট নেতারা জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে উদারতা, সহনশীলতা, ভিন্নমত ও সমালোচনা গ্রহণের মানসিকতা নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যকে সুদৃঢ় করার উদাত্ত আহ্বান জানান। তারা বলেন, নিজেদের মধ্যে অনৈক্য ফ্যাসিস্টদের নতুনভাবে পুনর্গঠনে সহায়তা করবে। আসুন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ থাকি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাগরে ঝোড়ো হাওয়া, ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
মৌসুমি বায়ু সক্রিয়। এ কারণে বঙ্গোপসাগরে বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে। ঝোড়ো হাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে ইতিমধ্যে। আর এ জন্য দেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দেশের চার বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।
আজ সকাল নয়টায় দেওয়া আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সাগরে বায়ুচাপের তারতম্য দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুমি বায়ু আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে সাগরও অনেকটা উত্তাল। আজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি হতে পারে।
আবহাওয়ার বার্তায় আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটারের মধ্যে হলে তাকে ভারী বৃষ্টি এবং এর চেয়ে বেশি হলে তা অতি ভারী বৃষ্টি বলে ধরা হয়। আজ এই ভারী বৃষ্টির কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সতর্কবার্তাও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বজলুর রশীদ বলেন, যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তা দেশের বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্নভাবে সাত দিন চলতে পারে।