সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি: মিম
Published: 20th, February 2025 GMT
ঘুরতে সবারই ভালো লাগে। সেই ভ্রমণে সঙ্গে থাকে যদি প্রিয় কোনো মানুষ, তাহলে তো আর কথাই নেই। আনন্দ বাড়ে বহুগুণে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধুবান্ধব, এমনকি মা-সন্তান বা ছাত্র-শিক্ষকের মতো বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষ এ দিনে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে। দিনটিকে কেন্দ্র করে প্রিয় মানুষকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা সাজায়। এবারের ভালোবাসা দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে স্বামী সনি পোদ্দারের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে গিয়েছিলাম মালদ্বীপে।
মালদ্বীপের দৃষ্টিনন্দন সৈকত ও সেখানকার মোহনীয় পরিবেশে চমৎকার কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি দু’জনে। আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম, ভালোবাসা দিবসটি স্বামীর সঙ্গে উদযাপন করব। বিয়ের পর ২০২২ সালের প্রথম দিকে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলাম মালদ্বীপে। সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি সেখান থেকে। নিরিবিলি একটি দ্বীপে দারুণ সময় কেটেছে দু’জনের। স্মৃতি রোমন্থন করেছি দু’জনে। সমুদ্রের ঢেউয়ের জলে আর পাখির কলকাকলি শব্দে সকাল সকালই ঘুম ভেঙে গেছে।
নাশতা করে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছি দু’জনে। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়েছে। এত সুন্দর জায়গার লোভ সামলাতে পারেননি বলে সুন্দর জায়গায় সুন্দর মুহূর্তগুলো বন্দি করে রাখতে পেশাদার ফটোগ্রাফার দিয়ে নিজেদের ছবিও তুলেছিলাম। এবারও ভালোবাসা দিবসে হয়েছে যুগলবন্দি ফটোশুট। লাল টপস পরেছিলাম। কয়েকটি ড্রেস পরিবর্তন করে ছবি তুলেছি।
হাতে হাত রেখে সনির সঙ্গে এক পা, দু পা, চার পা করে পাশাপাশি কত পথ যে হেঁটেছি, তার ইয়ত্তা নেই। নীল সাগরের সৈকতে ভালোবাসার পায়ের ছাপ স্পষ্ট এঁকে দিয়েছি। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু থেকে সবকিছু ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। আনন্দঘন সে ট্যুরের ছবি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছি।
ভালোবাসা দিবসের আগের রাতে ক্যান্ডেল নাইট ডিনারে খোলা আকাশের নিচে পূর্ণিমা উপভোগ করতে দারুণ লেগেছে। মালদ্বীপ এমন একটি দেশ যেখানে বারবারই যেতে মন চায়। সময় কাটানোর জন্য এত সুন্দর জায়গা দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
পৃথিবীর অন্যতম নয়নাভিরাম ও অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ মালদ্বীপ। বিধাতা যেন দুই হাত ভরে প্রকৃতির রূপে সাজিয়েছেন দেশটিকে। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, স্বর্গের দ্বীপ, প্রকৃতির কন্যা যেন সৌন্দর্যের রানী; যা দুনিয়াজোড়া মানুষকে মুগ্ধ করে ও টানে। সরল, শান্ত ও মনোরম পরিবেশ মুগ্ধ করে সবাইকে।
ছোট ছোট দ্বীপগুলো যেন নানান রঙে সেজে পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। কোনো প্রিয় জায়গায় গেলে সেখানকার স্থানীয় ফুড আমার চাই-ই চাই। সেখানকার নানারকম সুস্বাদু খাবার খেয়েছি দু’জনে। সবকিছু মিলিয়ে অন্যরকম মুগ্ধতা নিয়ে ভালোবাসা দিবসের বিশেষ দিনটি কেটেছে।
লেখক: বিদ্যা সিনহা মিম, চিত্রনায়িকা
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন দর
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।