প্রথমবার এমএলএ হয়েই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে রেখা গুপ্তা
Published: 20th, February 2025 GMT
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শালিমারবাগের এমএলএ রেখা গুপ্তাকে বেছে নিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নবনির্বাচিত এমএলএদের সামনে পরিষদীয় দলের প্রধান হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রামলীলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন। বণিক সমাজের প্রতিনিধি রেখা একসময় ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নেত্রী ছিলেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচনেও জিতেছিলেন তিনি। বিজেপির সঙ্গে রেখা গুপ্তা প্রায় ৩ দশক ধরে যুক্ত। দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদ সামলেছেন। তবে এই প্রথমবার এমএলএ হলেন তিনি। আর এমএলএ থেকে সরাসরি হয়ে যাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
আরো পড়ুন:
ভারতকে হারানোর মন্ত্রে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
রোহিতের ২০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে কোথাও নেই ‘বাংলাদেশ’
তিনি হবেন দিল্লির চতুর্থ নারী মুখ্যমন্ত্রী৷ এর আগে বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত এবং আম আদমি পার্টির অতিশী মারলেনা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন।
রামলীলা ময়দানে আজকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপরাজ্যপাল (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) ভিকে সাক্সেনার কাছে দিল্লির নবম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন রেখা গুপ্তা। তার সঙ্গে আজ আরো ৬ মন্ত্রী শপথ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২৭ বছর পরে ফের দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। রাজ্যের ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছে ৪৮টি আসনে। অন্যদিকে, টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর হেরে গেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তারা পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন।
শালিমারবাগ কেন্দ্রে আম আদমি পার্টির প্রার্থী বন্দনা কুমারীকে ২৯ হাজারেও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন বিজেপির রেখা গুপ্তা। প্রথমবার বিধায়ক হওয়া রেখার ওপর আস্থা রেখেছে বিজেপি। রেখা গুপ্তা তার প্রতি আস্থা রাখার জন্য বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দলীয় নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
রেখা বলেন, “আমি দলীয় নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যিনি আমার মতো একজন সাধারণ মানুষের ওপর অগাধ বিশ্বাস দেখিয়েছেন। আমাকে এত বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার গল্প প্রতিটি নারীর জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত নারীকেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছনোর সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম খ যমন ত র মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল