দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শালিমারবাগের এমএলএ রেখা গুপ্তাকে বেছে নিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নবনির্বাচিত এমএলএদের সামনে পরিষদীয় দলের প্রধান হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রামলীলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন। বণিক সমাজের প্রতিনিধি রেখা একসময় ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নেত্রী ছিলেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচনেও জিতেছিলেন তিনি। বিজেপির সঙ্গে রেখা গুপ্তা প্রায় ৩ দশক ধরে যুক্ত। দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদ সামলেছেন। তবে এই প্রথমবার এমএলএ হলেন তিনি। আর এমএলএ থেকে সরাসরি হয়ে যাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

আরো পড়ুন:

ভারতকে হারানোর মন্ত্রে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

রোহিতের ২০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে কোথাও নেই ‘বাংলাদেশ’

তিনি হবেন দিল্লির চতুর্থ নারী মুখ্যমন্ত্রী৷ এর আগে বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত এবং আম আদমি পার্টির অতিশী মারলেনা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন।

রামলীলা ময়দানে আজকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপরাজ্যপাল (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) ভিকে সাক্সেনার কাছে দিল্লির নবম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন রেখা গুপ্তা। তার সঙ্গে আজ আরো ৬ মন্ত্রী শপথ নেবেন।

উল্লেখ্য, ২৭ বছর পরে ফের দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। রাজ্যের ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছে ৪৮টি আসনে। অন্যদিকে, টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর হেরে গেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তারা পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন।

শালিমারবাগ কেন্দ্রে আম আদমি পার্টির প্রার্থী বন্দনা কুমারীকে ২৯ হাজারেও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন বিজেপির রেখা গুপ্তা। প্রথমবার বিধায়ক হওয়া রেখার ওপর আস্থা রেখেছে বিজেপি। রেখা গুপ্তা তার প্রতি আস্থা রাখার জন্য বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দলীয় নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

রেখা বলেন, “আমি দলীয় নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যিনি আমার মতো একজন সাধারণ মানুষের ওপর অগাধ বিশ্বাস দেখিয়েছেন। আমাকে এত বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার গল্প প্রতিটি নারীর জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত নারীকেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছনোর সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম খ যমন ত র মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া