আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস পালনের আহ্বান জামায়াতের
Published: 20th, February 2025 GMT
আলোচনা সভা ও দোয়ার মাধ্যমে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “একুশে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’। ১৯৫২ সালে এ দেশের তরুণ, ছাত্র ও যুব সমাজ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। আন্দোলন দমনের জন্য সে দিন রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিছিলকারীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ আরো অনেকেই। বাংলা ভাষার জন্য তাদের এ আত্মত্যাগের কারণে দেশের মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। আমি মহান আল্লাহর কাছে তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।”
শফিকুর রহমান বলেন, “একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ করেছে। এটা ভাষা শহীদদের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলা ভাষাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করে বিজাতীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। তাহলেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্বপ্ন সার্থক হবে।”
তিনি বলেন, “দেশবাসী আজ এমন এক সময় ভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছে যখন সবেমাত্র দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকারার্থে স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করেছে। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও মত-প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে প্রয়াস চলছে। দেশের মানুষ জানমাল ও ইজ্জত-আব্রু বজায় রেখে চলাফেরা করতে পারছে। যদিও নাগরিকদের শতভাগ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি।”
এমতাবস্থায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নাগরিকদের ভোটাধিকারসহ সকল মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল