দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রেখা গুপ্ত
Published: 20th, February 2025 GMT
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রেখা গুপ্ত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেন। রেখা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাজনীতিক এবং আরএসএসের ঘনিষ্ঠ।
মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুসহ এনডিএ জোটের শীর্ষ কয়েকজন নেতা।
রেখা গুপ্ত দিল্লির চতুর্থ এবং বিজেপির হয়ে দিল্লির দ্বিতীয় নারী মুখ্যমন্ত্রী। রেখা গুপ্তর আগে বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত এবং সর্বশেষ আম আদমি পার্টির (এএপি) আতিশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
২৭ বছর পর দিল্লিতে বিজেপি আবারও ক্ষমতায় এসেছে। দিল্লি বিধানসভার এবারের নির্বাচনে শালিমারবাগ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন রেখা গুপ্ত। নির্বাচন হয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে বিধায়ক পদে রেখা গুপ্ত ২০১৫ ও ২০২০ সালে এই শালিমারবাগ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। তবে দুবারই তিনি হেরে যান আম আদমি পার্টির (আপ) প্রার্থী বন্দনা কুমারীর কাছে। প্রথমবার হারেন ১০ হাজার ৯৭৮ ভোটে, দ্বিতীয়বার ৩ হাজার ৪৪০ ভোটে।
এবার তৃতীয়বারের মতো বিজেপি ওই আসন থেকেই রেখা গুপ্তকে প্রার্থী করে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিলেন আপের সেই বন্দনা কুমারী। এবার রেখা জেতেন ২৯ হাজার ৫৯৫ ভোটের ব্যবধানে। প্রথমবার বিধায়ক হয়েই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন রেখা।
আরও পড়ুনদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্ত১৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ল ল র ম খ যমন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন