টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে দ্রুত হারালেও ইনিংস টেনে নিচ্ছিলেন তানজিদ তামিম। নবম ওভারে তিনিও ফিরে গেছেন। অক্ষর প্যাটেলের অফস্টাম্পের বাইরের বলে রাহুলের গ্লাবভসে ক্যাচ দেন তানজিদ। ৪টি চারে ২৫ বলে ২৫ রান করে গেছেন। এর পরের বলে অক্ষরের শিকার হয়েছেন মুশফিকও। ৩৫ রানে বাংলাদেশের নেই ৫ উইকেট। ৯.৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩৭।

এর আগে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে শান্তর দল। তবে ব্যাটিং পিচে শুরুতেই বেকায়দায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই সৌম্যকে হারায় বাংলাদেশ। ৫ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেনি টাইগার এই ওপেনার। পরের ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্তকে তুলে নেন হর্ষিত রানা। শর্ট কাভারে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন শান্তও। এরপর তানজিদের সঙ্গে হাল ধরেছিলেন মিরাজ। সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামির শিকার হয়েছেন তিনি। শামির বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ধরা দেন ৫ রান করা মিরাজ। 

একাদশে তিন পেসার এবং দুই স্পিনার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ। একাদশে তিন পেসার তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। দুই স্পিনার হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং রিশাদ হোসেন। একাদশে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে রাখেনি বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলেননি তিনি। বাংলাদেশ একাদশে আরেকটি চমক বলা যায় নাহিদ রানার অনুপস্থিতি। ম্যাচের আগে তরুণ গতিময় পেসারকে নিয়ে হয়েছে অনেক আলোচনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই খেলবে বাংলাদেশ। 

 

বাংলাদেশের একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান।

ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদিপ যাদব, মোহাম্মদ শামি এবং হর্ষিত রানা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ