ত্বকের যত্নে নারীদের সচেতনতা ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করার প্রবণতায় গত কয়েক বছরে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি উপাদাননির্ভর পণ্যের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা আধুনিক স্কিনকেয়ার পদ্ধতির বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর পাশে জায়গা করে নিতে এসিআই নিয়ে এল নতুন প্রজন্মের ফর্মুলেশনে তৈরি প্রথম ব্র্যান্ড ‘অ্যাঞ্জেলিনা’। অ্যাঞ্জেলিনা রেঞ্জের প্রথম পণ্য অ্যাঞ্জেলিনা হায়ালুরনিক বুস্টার দেশব্যাপী পাওয়া যাচ্ছে।

সম্প্রতি বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে অ্যাঞ্জেলিনার পদযাত্রার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এই আয়োজনে ‘ব্র্যান্ড ফেস’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাজিফা তুষিকে।

এসিআই লিমিটেডের বিজনেস ডিরেক্টর খন্দকার ইশতিয়াক আহমদ, জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মিজানুর রহমান, জেনারেল ম্যানেজার (ফ্যাক্টরি অপারেশনস) দীপঙ্কর বিশ্বাস, জেনারেল ম্যানেজার (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মো.

নাহিদ নেওয়াজ, ব্র্যান্ড ম্যানেজার রওনক জাহান, ব্র্যান্ড লিড আনান মাসুম অহনাসহ অন্যান্য অতিথির উপস্থিতিতে অ্যাঞ্জেলিনা হায়ালুরনিক বুস্টারের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ত্বকের সৌন্দর্য নিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য নারী উদ্বিগ্ন থাকেন, কেউ কেউ হীনম্মন্যতায় ভোগেন। ত্বকের সমস্যা সমাধানে কখনো ঘরোয়া পদ্ধতি, কখনো বা দামি বিদেশি পণ্য ব্যবহার করে থাকেন এবং এদের মধ্যে অধিকাংশ পণ্যের উৎপাদনপ্রক্রিয়া ও গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এসব পণ্য ব্যবহারে দিনের পর দিন বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা আর পরিশ্রমের দৃশ্যমান পরিবর্তন থাকে খুবই সামান্য, যা নিয়ে হতাশায় ভোগেন লাখো নারী। এসব নারীর প্রধান অভিযোগ ছিল শুষ্কতা, নিষ্প্রভতা এবং বয়সের আগেই বলিরেখা নিয়ে দুর্ভোগ।

এসব সমস্যার সমাধানে নারীদের ত্বকের পরিচর্যাকে আরও কার্যকর করতে এল অ্যাঞ্জেলিনা হায়ালুরনিক বুস্টার। এর হায়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন ও গোলাপের নির্যাসসমৃদ্ধ নতুন প্রজন্মের ফর্মুলেশন শুষ্কতা দূর করে ত্বকে আনবে সতেজ সৌন্দর্যের আভা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ