ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে সরকার
Published: 20th, February 2025 GMT
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বাড়িয়ে সরকারি বিতরণব্যবস্থা সচল রাখতে এ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারতের এম বা এস বগাদিয়া ব্রাদার্স থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করবে খাদ্য অধিদপ্তর। প্রতি কেজি ৫৩ টাকা ২ পয়সা করে দরে এ চাল আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এর আগে কয়েক দফায় ভারত, পাকিস্তানসহ কয়েক দেশ থেকে কয়েক লাখ টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
বৈঠকে সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। একইসঙ্গে সার কারখানার জন্য ১০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ দুই ক্রয় প্রস্তাব ব্যয় ধরা হয়েচে ৩০৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়াও সার সংরক্ষণের জন্য দেশের চার জেলায় চারটি বাফার গুদাম নির্মাণের প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৩৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ল আমদ ন চ ল আমদ ন হ জ র টন আমদ ন র অন ম দ ত হয় ছ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’