নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দরিদ্র নারীদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নারী দল সদস্যদের আয়মূলক কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা প্রদানে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী দল সদস্যদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়। রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুননেছার সভাপতিত্বে ও বিএনপিএসের ঢাকা পশ্চিম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো.

হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বিএনপিএসের কেন্দ্রীয় সহকারী সমন্বয়কারী সিঁথি ঘোষ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবসহ নানা কারণে দরিদ্র নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। অনেক চেষ্টা থাকলেও সহায়তার অভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না। এমতাবস্থায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো এ ধরনের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিলে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে জাতীয় উন্নয়নও নিশ্চিত হবে।

তারা নারীদের ঋণ সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

রমজান মাসের আগেই এ ধরনের ব্যবসায়ী সহায়তা উপকরণ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সহায়তা গ্রহণকারী নারীরা। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী নারীদের প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকার বিভিন্ন ধরণের ক্ষুদ্র ব্যবসা উপকরণ ও ব্যবসা সংশ্লিষ্ট সহায়তা সামগ্রী প্রদান করা হয়।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা

মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।

এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আহারে চার পদ
  • মাটির গুণগত বৃদ্ধিতে ‘বিনা বায়োচার’ উদ্ভাবন
  • চলতি বছর বিশ্বে মন্দার ঝুঁকি বেড়েছে, জরিপে অর্থনীতিবিদদের শঙ্কা
  • বুয়েটের নতুন রিকশার অনুমোদন দেবে সরকার, ‘মাস্টার ট্রেইনার’ হবেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা
  • সুন্দর ভবনে পরিত্যক্ত কক্ষ, কমেছে শিক্ষার্থী, ঢিমেতালে চলে কার্যক্রম
  • ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা