দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রেখা গুপ্ত
Published: 20th, February 2025 GMT
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শালিমার বাগ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত রেখা গুপ্ত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে নতুন মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা শপথ নেন। খবর এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়ার
শপথের মাধ্যমে ৫০ বছর বয়সী রেখা গুপ্ত হলেন রাজ্যের নবম মুখ্যমন্ত্রী। রেখা দিল্লির রাজনীতিতে স্বল্প পরিচিত। এই প্রথমবার টিকিট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন। সুষমা স্বরাজ, শীলা দিক্ষীত ও আতিশির পর রেখা হচ্ছেন দিল্লির চতুর্থ নারী মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রবল দাবিদার অবশ্য ছিলেন প্রভেশ সিং বার্মা। তার বাবা সাহেব সিং ভার্মা একসময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার ভোটে প্রভেশ হারান আম আদমি পার্টির নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।
দিল্লি বিধানসভার ভোট গণনা হয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি। একাধিক দাবিদারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে, তা ঠিক করতে যথেষ্ট সময় যায় বিজেপির শীর্ষ নেতাদের।
বুধবার প্রথমে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক বসে। এরপর বোর্ড মনোনীত পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বসে পরিষদীয় দলের বৈঠক। সেখানেই রাত সাড়ে ৮টায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়। যদিও এর আগেই বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ পর্বের চিঠি বিলি করা হয়। সেই চিঠিতে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কে শপথ নিচ্ছেন সেই উল্লেখ ছিল না।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আম আদমি পার্টির দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আতিশির সঙ্গে কংগ্রেসের দিল্লি প্রদেশের সভাপতি দেবেন্দ্র যাদবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শপথগ রহণ ম খ যমন ত র শপথ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’