ভারতের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও সাবেক বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। তবে বড় কোন ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি তার। ভারতের সংবাদ মাধ্যম দিয়েছে এই খবর। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে শুক্রবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সৌরভ। দুর্ঘটনার সঙ্গে তিনটি গাড়ি সম্পৃক্ত। তবে কেউ আহত হননি। কেবল সৌরভের রেঞ্জ রোভারে পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ায় তার গাড়ির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সৌরভ গাঙ্গুলি বর্ধমানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামে যাচ্ছিলেন। সেখানে বর্ধমান স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে সৌরভের গাড়ি পেছন থেকে একটি লরি অতিক্রম করার চেষ্টা করে। এ সময় সৌরভের গাড়ির ড্রাইভার ব্রেক ধরতে বাধ্য হলে পেছনের গাড়ি তাদের ধাক্কা দেয়।

পরে বর্ধমানের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সৌরভ বলেন, ‘আমি এখানে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত। আমাকে আমন্ত্রণ জানানোয়  খুবই আনন্দিত।’ এ সময় বর্ধমান স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। অনেক বছর পরে আমন্ত্রণ পাওয়ায় ধন্যবাদ জানান।    

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স স আই দ র ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ