Samakal:
2025-11-03@19:57:11 GMT

কুমিল্লায় শহীদ মিনার ভাঙচুর

Published: 21st, February 2025 GMT

কুমিল্লায় শহীদ মিনার ভাঙচুর

কুমিল্লায় গভীর রাতে ভেঙে ফেলা হয়েছে একটি কলেজের শহীদ মিনার। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যান থানা পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে কলেজের শিক্ষকরা এবং পরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। পরে সকলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

রাত আনুমানিক ২টার দিকে বিকট শব্দে কলেজের নৈশপ্রহরী শহীদ মিনারের কাছে গিয়ে দেখেন শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভের মধ্যে দুটি ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ সমকালকে বলেন, ফুল দেওয়ার পর আমরা চলে যাওয়ার পরই গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছেন। কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলতে পারছি না।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আজ সমকালকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় এখনই কারা শহীদ মিনার ভেঙেছে তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় লোকজন এ কাজের সাথে জড়িত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ