বগুড়ায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ইতালি, নেপাল, মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে আসা ২৫ জন বিদেশি নাগরিক।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়া বীট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আলোচনা সভা ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

আলোচনা সভায় ইতালির নাগরিক ও ফিল্ম মেকার আলবার্তো স্টারোস্টা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় অনেক বড়। ভাষার জন্য তাদের যে ত্যাগ, তা এখন সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি আমার কাছে ভিন্ন, কারণ বাংলাদেশে বসেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি।’’

মালয়েশিয়ার নাগরিক ও ফিল্ম মেকার জুনিয়া আনিলিক বলেন, ‘‘আমাদের দেশেও প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে থাকি। বাংলাদেশের বগুড়ায় এই আয়োজন দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। এই দেশের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী। আশা করছি, তারা বাংলা ভাষাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’’

বীট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রকৌশলী সাহাবুদ্দীন সৈকত বলেন, ‘‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে আমাদের প্রতিষ্ঠানে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। এই আয়োজনে ২৫ জন বিদেশি নাগরিক অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে অনেক গর্বের বিষয়।’’

ঢাকা/এনাম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ