রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার একটি ভুট্টাখেত থেকে আনুমানিক ২৮ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক নারীর মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কালীরহাট বালাপাড়া গ্রামের পাশের একটি ভুট্টাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, লাশের মাথাসহ পুরো মুখমণ্ডল ও শরীরের কিছু অংশ ঝলসানো ছিল। চেহারা বিকৃত হওয়ায় চেনা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় নিহত নারীর বাঁ হাত ছিল না।

ওসি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে কেরোসিন ঢেলে আগুনে কিংবা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ দিয়ে লাশের মাথাসহ মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভুট্টাখেতের ভেতরে পড়ে থাকায় লাশের বাঁ হাতটি শিয়াল ছিঁড়ে নিয়ে যেতে পারে। উদ্ধারের সময় লাশের পরনে লাল রঙের পোশাক ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে বালাপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি ঘাস কাটতে গিয়ে ভুট্টাখেতের ভেতরে ওই নারীর লাশ দেখতে পান। পরে এলাকার লোকজন থানা-পুলিশে খবর দেন।

বেলা আড়াইটার দিকে বদরগঞ্জ থানার পুলিশ, সিআইডি ও পিআইবি পুলিশের দল ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল। এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ