গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফআই) মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে মহাজনী ব্যবস্থায় সুদের হার অনেক কমেছে। তবে সহজে ঋণ পাওয়া যায় বলে ব্যাংকের চেয়ে এখনও এনজিওকেই বেশি সুবিধাজনক বলে মনে করেন গ্রামের মানুষ।  বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট  অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিআইডিএস মিলনায়তনে ‘ক্ষুদ্রঋণ  প্রতিযোগিতা এবং মহাজনদের উপস্থিতি: তত্ত্ব এবং প্রমাণ’ শীর্ষক গবেষণাটি তুলে ধরেন অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ এশিয়া গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক শ্যামল চৌধুরী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যখন একটি নতুন এনজিও কোনো গ্রামে প্রবেশ করে, তখন ওই গ্রামে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা ৩৩ শতাংশ কমে যায়। তাছাড়া ওই ঋণে সুদের হারও প্রায় ২৫ শতাংশ কমে। 

গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে ব্যাংক ও এনজিওর সংখ্যা বাড়লেও মহাজনের দৌরাত্ম্য পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। ঋণগ্রহীতার ৫০ শতাংশ গ্রামীণ এনজিও থেকে ঋণ নেন। আর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ এখনও মহাজনদের কাছে ঋণ নেন, যেখানে ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ৫ শতাংশেরও কম। গবেষণার সুপারিশে বলা হয়, মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিযোগিতার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এটি পুরোপুরি সফল করতে হলে ব্যাংক, এনজিও এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও সমন্বয় দরকার।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঋণ এনজ ও

এছাড়াও পড়ুন:

সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর

জাতীয় ক্রিকেট লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিনদিনেই জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ৭ উইকেটে তারা হারিয়েছে খুলনা বিভাগকে। এদিকে সিলেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।

তার ব্যাটে ভর করে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে লড়ছে সিলেট। ঢাকার করা ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের ৭ উইকেটে রান ২৬০। ৫০ রানে পিছিয়ে তারা। ১৭০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন ইবাদত হোসেন। এছাড়া শাহানুর ৩০ ও তোফায়েল ২৭ রান করেন।

আরো পড়ুন:

মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ

স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ

মিরপুরে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও যুৎসই হয়নি। এবার ২৫৫ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৮ রানে দিন শুরু করে তারা। এনামুলের ইনিংস থেমে যায় ৩৪ রানে। মোহাম্মদ মিথুন খুলতে পারেননি রানের খাতা। মিরাজ ৪৮ ও জিয়াউর এবং ইয়াসির মুনতাসির ৩২ রানের দুটি ইনিংস খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের স্কোর বড় হয়নি।

১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ২৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি। তাতে ১০৯ রানের লক্ষ্য পায় রাজশাহী। ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

হাবিবুর রহমান সোহান ৬৮ বলে ৬২ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৫ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। সাব্বির রহমান ১২ ও মেহরব ৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরল তারা।

কক্সবাজারে ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ বাজে আউটফিল্ডের কারণে ভেস্তে যায়। একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ২ উইকেট হারিয়ে রংপুরের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে। ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।

পাশের মাঠে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় খেলা হয়েছে। আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৫ রানের সঙ্গে ৫১ রান যোগ করেন বরিশাল বিভাগ। খেলা হয়েছে কেবল ১৫ ওভার। জাহিদুজ্জামান খান ৩২ ও সালমান হোসেন ইমন ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা ১৯২ রানে পিছিয়ে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর