পুরোহিতের ওপর হামলার অভিযোগে তরুণ গ্রেপ্তার
Published: 21st, February 2025 GMT
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা বড়হরিপুর পোদ্দারপাড়া গ্রামে মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানে পুরোহিতের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার এ ঘটনায় আহত পুরোহিত ব্রাহ্মণ জামেনী কান্ত মহন্তকে (৮০) প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত একই ইউনিয়নের শালন্দার মণ্ডলপাড়া গ্রামের রিফাত হোসেন (২০) নামে এক তরুণকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। অনুষ্ঠান চালিয়ে নিতে পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
যজ্ঞানুষ্ঠানের সভাপতি প্রফুল্ল রায়ের ছেলে স্কুলশিক্ষক মানিক চন্দ্র রায় জানান, প্রতিবারের মতো এবারও দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের (অষ্টপ্রহর) আয়োজন করেন গ্রামের বাসিন্দারা। শুক্রবার অনুষ্ঠান চলাকালে রিফাত স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে ব্রাহ্মণের মাথার তালুতে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার পর ছুটে আসেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.
বিএনপি নেতা একরামুল হক বলেন, পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে রিফাত কয়েক মাস ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর চিকিৎসার কাগজ থানায় পাঠানো হয়েছে। যজ্ঞানুষ্ঠান চালাতে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য বিএনপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
পার্বতীপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার ফুল মিয়া বলেন, ব্রাহ্মণের ওপর হামলার ঘটনায় রিফাত হোসেন নামে এক তরুণকে থানায় আনা হয়েছিল। মানসিক চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে এসেছিল তাঁর পরিবার। তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’