মিঠাপুকুরে শহীদ মিনারের ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু
Published: 21st, February 2025 GMT
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার ফুল আনতে পাশের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক শিশু।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রাতিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা আর্জিনা বেগম বাদি হয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর।
ওসি আবু বক্কর জানান, ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে। শুক্রবার সকালে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী রুহুল আমিনের বাড়িতে ফুল আনতে যায় ওই শিশু। রুহুলের পরিবার ঢাকায় থাকায় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। এসময় রুহুল আমিন তাকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। গ্রামের মুসল্লিরা নামাজের দাওয়াত দেওয়ার জন্য সেসময় ওই বাড়িতে গেলে শিশুটি ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, “ছোট শিশু শহীদ মিনারের ফুল দেয়ার উদ্দেশ্যে পাশের বাড়িতে ফুল আনতে গেলে ওই বাড়ির গৃহকর্তা দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। বিকেলে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে মহানগর কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/আমিরুল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একজন প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতিবিদ মাহতাব উদ্দিন
বাংলাদেশে অনেক তরুণ ও উদীয়মান অর্থনীতিবিদ আছেন, যাঁরা আমার ছাত্র বা ছাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মাহতাব উদ্দিন নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা।
মাহতাব বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) গবেষণা পরিচালক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। বর্তমানে তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
প্রায় এক দশক ধরে একাডেমিক ও নীতি গবেষণার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত আছেন মাহতাব। তাঁর গবেষণার পরিধি ও বৈচিত্র্য প্রশংসনীয়। শ্রমবাজারের গঠন, কর্মসংস্থানের প্রবণতা, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য, অভিবাসনের ধারা ও প্রভাব, প্রবাসী আয়ের ব্যবহার এবং অর্থনীতিতে এর ভূমিকা—এই সব বিষয়ে গবেষণায় তাঁর সুস্পষ্ট দক্ষতা রয়েছে। পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরির মতো জটিল নীতিগত প্রশ্ন নিয়েও তিনি গভীর অনুসন্ধানী কাজ করেছেন।
এসব গবেষণার প্রেক্ষাপটে মাহতাব এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), এশিয়া ফাউন্ডেশন, একশনএইড, ব্রিটিশ ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), আন্তর্জাতিক উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র (আইডিআরসি), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিসহ (ইউএনডিপি) একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে তিনি গবেষক, বিশ্লেষক এবং নীতিমালা প্রণয়ন সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
একাধিক গবেষণায় মাহতাবের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সুযোগ আমার হয়েছে। এসব অভিজ্ঞতায় মাহতাবের মধ্যে যে গুণাবলির পরিচয় আমি পেয়েছি, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তাঁর অধ্যবসায় অবিস্মরণীয়—একটি জটিল গবেষণা প্রশ্নের গভীরে প্রবেশ করে, নানা তথ্যসূত্র সংগ্রহ করে এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে সুসংগত উত্তর বের করে আনার সক্ষমতা তাঁর ব্যতিক্রমধর্মী। তাঁর বিশ্লেষণী দক্ষতা গভীর ও বহুমাত্রিক—তথ্য ও উপাত্তের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে উন্নত পরিসংখ্যানপদ্ধতির প্রয়োগ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে তাঁর দক্ষতা লক্ষ করার মতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহতাব উদ্দিন