বইমেলায় কুবি শিক্ষিকার গল্পগ্রন্থ ‘বুমেরাং’
Published: 22nd, February 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শীলার তৃতীয় গল্পগ্রন্থ 'বুমেরাং' প্রকাশিত হয়েছে এবারের অমর একুশে বইমেলায়।
এ গল্পগ্রন্থ সম্পর্কে কামরুন নাহার শীলা বলেন, “ভিন্নধর্মী মোট ১০টি গল্পের সংকলন ‘বুমেরাং’। আমাদের আটপৌরে জীবনকেই নানাভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে গল্পগুলোয়। পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বাস্তবতা, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতা প্রকাশের চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের দাপট ও ক্ষমতাচ্যুতির ফলে জীর্ণদশার কথা, সম্মানের যোগ্য হয়েও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার কারণে বঞ্চিত মানুষের কথাও বলার চেষ্টা করেছি।”
তিনি আরো বলেন, “বইটির বেশিরভাগ গল্পই অলস সময়ে লেখা। বিষয় এবং ভাষা দুইয়ের কোনোটা নিয়েই তেমন ভাবিনি। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই গল্পগুলো এসেছে, পাঠক এক বসাতেই একটি গল্প টানা পড়ে যেতে পারবেন। বইটি সিরিয়াস-সাধারণ উভয় পাঠকেরই ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।”
আরো পড়ুন:
প্রেম কিংবা রক্ত-ঝরা কবিতা ‘প্রেমিকাদের কিছুটা বোকা হতে হয়’
‘বইয়ের অনুবাদ স্বত্ব কেনা মোটেও সহজ নয়’
বইটি প্রকাশ করেছে মাওলা ব্রাদার্স। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ। বইটি পাওয়া যাবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৪ নম্বর প্যাভিলিয়নে ও চট্টগ্রামের অমর একুশে গ্রন্থমেলার বাতিঘরের ৬৮ এবং ৬৯ নম্বর স্টলে।
কামরুন নাহার শীলা ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘লালবেজি’ গল্পগ্রন্থের জন্য কথাসাহিত্যে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার-২০১৯’ পেয়েছিলেন।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা