Prothomalo:
2025-06-16@14:23:10 GMT

আবু তালিবকে নবী (সা.)–এর দাওয়াত

Published: 22nd, February 2025 GMT

হজরত মুসাইয়্যাব (র.)-এর বরাতে এই হাদিসের বর্ণনা আছে।

আবু তালিবের মুমূর্ষু অবস্থায় নবী (সা.) তাঁর কাছে গেলেন। আবু জাহলও তাঁর কাছে বসা ছিল।

 নবী (সা.) তাঁকে লক্ষ্য করে বললেন, চাচা, ‘লা ইলাহা ইল্লাললাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ কলেমাটি একবার পড়ুন, তাহলে আমি আপনার জন্য আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে পারব।

 আবু জাহাল আর আবদুল্লাহ ইবনু আবু উমাইয়া তখন বলল, হে আবু তালিব! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম থেকে ফিরে যাবে? তারা দুজনে বারবার তাকে এই কথাটি বলতে থাকল।

আরও পড়ুনখিজির (আ.

)–এর সঙ্গী ‎নবী মুসা (আ.)১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শেষে আবু তালিব তাদের বললেন, আমি আবদুল মুত্তালিবের ধর্মেই আছি।

 তাঁর এ কথার পর নবী (সা.) বললেন, যে পর্যন্ত আপনার ব্যাপারে আমাকে নিবৃত্ত করা না হয়, আমি আপনার জন্য ক্ষমা চাইতেই থাকব।

এ সূত্রেই এই আয়াতটি নাজিল হলো, আত্মীয়স্বজন হলেও অংশীবাদীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও বিশ্বাসীর জন্য সংগত নয়, যখন এটা সুস্পষ্ট যে ওরা জাহান্নামে বাস করবে। (সুরা তওবা, আয়াত: ১১৩)

 আরও নাজিল হলো, কাউকে প্রিয় মনে করলেই তুমি তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনেন। আর তিনি ভালো জানেন, কারা সৎপথ অনুসরণ করে। (সুরা কাসাস, আয়াত: ৫৬)

বুখারি, হাদিস: ৩৮৮৪

আরও পড়ুনগাছের গুঁড়ি কেঁদেছিল, জুমার খুতবা শুনে ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ

বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। 

মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।

মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ