আবু তালিবকে নবী (সা.)–এর দাওয়াত
Published: 22nd, February 2025 GMT
হজরত মুসাইয়্যাব (র.)-এর বরাতে এই হাদিসের বর্ণনা আছে।
আবু তালিবের মুমূর্ষু অবস্থায় নবী (সা.) তাঁর কাছে গেলেন। আবু জাহলও তাঁর কাছে বসা ছিল।
নবী (সা.) তাঁকে লক্ষ্য করে বললেন, চাচা, ‘লা ইলাহা ইল্লাললাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ কলেমাটি একবার পড়ুন, তাহলে আমি আপনার জন্য আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে পারব।
আবু জাহাল আর আবদুল্লাহ ইবনু আবু উমাইয়া তখন বলল, হে আবু তালিব! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম থেকে ফিরে যাবে? তারা দুজনে বারবার তাকে এই কথাটি বলতে থাকল।
আরও পড়ুনখিজির (আ.)–এর সঙ্গী নবী মুসা (আ.)১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শেষে আবু তালিব তাদের বললেন, আমি আবদুল মুত্তালিবের ধর্মেই আছি।
তাঁর এ কথার পর নবী (সা.) বললেন, যে পর্যন্ত আপনার ব্যাপারে আমাকে নিবৃত্ত করা না হয়, আমি আপনার জন্য ক্ষমা চাইতেই থাকব।
এ সূত্রেই এই আয়াতটি নাজিল হলো, আত্মীয়স্বজন হলেও অংশীবাদীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও বিশ্বাসীর জন্য সংগত নয়, যখন এটা সুস্পষ্ট যে ওরা জাহান্নামে বাস করবে। (সুরা তওবা, আয়াত: ১১৩)
আরও নাজিল হলো, কাউকে প্রিয় মনে করলেই তুমি তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনেন। আর তিনি ভালো জানেন, কারা সৎপথ অনুসরণ করে। (সুরা কাসাস, আয়াত: ৫৬)
বুখারি, হাদিস: ৩৮৮৪
আরও পড়ুনগাছের গুঁড়ি কেঁদেছিল, জুমার খুতবা শুনে ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।