প্রথম ম্যাচ জিতে ৫-০-এর আশা বাংলাদেশের
Published: 22nd, February 2025 GMT
১৯৯০ সালে কলকাতায় এক প্রীতি টুর্নামেন্টে নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দল। তবে এশিয়ান বা দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের মতো বড় প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কখনো হারেনি।
প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে নেপালের কাছে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। পল্টন মাঠে দুই দেশের ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে আজ স্বাগতিক বাংলাদেশ ৫৩-২৯ পয়েন্টে উড়িয়ে দিয়েছে সফরকারী দলকে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ২৮-১১ পয়েন্টে।
প্রথম ম্যাচটা সহজে পার হওয়ায় বাংলাদেশ ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। অধিনায়ক মিজানুর রহমান আজ ম্যাচ শেষে যেমন বললেন, ‘ভালো ম্যাচ হয়েছে। কোচ যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই খেলেছি। নেপালে কদিন আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েছে। আমিসহ বাংলাদেশের ৬ খেলোয়াড় খেলে এসেছি। নেপালের কাবাডি এগোচ্ছে। আজ হয়তো ওরা ভালো করতে পারেনি। নিশ্চয়ই ওরা ঘুরে দাঁড়াবে। তবে আশা করি, আমরা ৫-০তেই এই সিরিজ জিতব।’
আরও পড়ুনচারে চার করে বাংলাদেশের আরেকটি কাবাডি উৎসব০৩ জুন ২০২৪গত বছর ঢাকায় সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গে তীব্র লড়াই করেছিল নেপাল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তারা ৪৫-৩১ পয়েন্টে হেরেছে। সেই ম্যাচের তুলনায় আজ সেভাবে খেলতে পারেনি নেপাল। সফরকারী দলটিকে দেখে বাংলাদেশ কোচ বাদশা মিয়াও আত্মবিশ্বাসী ৫-০ হওয়ার ব্যাপারে, ‘আজ যেভাবে খেলেছি এভাবেই খেলতে পারলে ৫-০ হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।’
কাবাডিতে নেপালকে নিজেদের শক্তি দেখিয়েছে বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয়-সাদমানের শতরানের জুটি, প্রথম সেশন বাংলাদেশের
চট্ট্রগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা দুর্দান্ত কেটেছে বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ২২৭ রানে দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দিনের প্রথম বলেই সফরকারীদের শেষ উইকেটটি তুলে নেন তাইজুল। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসের সেরা বোলার টাইগার এই স্পিনার।
জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইতিবাচক শুরু করেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম। কোনো উইকেট না হারিয়েই প্রথম সেশন শেষ করেন তারা। বিজয় ৩৮ এবং সাদমান ৬৬ রানে ব্যাট করছেন। ২৬ ওভারে বাংলাদেশ করে বিনা উইকেটে ১০৫ রান। এরপরই মধ্যাহ্নভোজে যায় দুই দল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর এবারই প্রথম টেস্টের ওপেনিং জুটিতে পঞ্চাশ রান তুলতে পারল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয় ৩২ ইনিংস পর বাংলাদেশ পেয়েছে ওপেনিং জুটিতে শতরানের জুটি।
সাদমানের ফিফটি
সিলেট টেস্টে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সাদমান। তবে চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ৭৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটি তার ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি। ২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৬ রান। সাদমান ৫০ রানে এবং বিজয় ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।
সাদমান-বিজয়ের জুটির ফিফটি
সাদমান ইসলাম এবং এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ইতিবাচক সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৩.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫০ রান করেছে স্বাগতিকরা। ১২ ইনিংস পর পঞ্চাশ পেরোনো শুরুর জুটি পেল তারা। ভারতের বিপক্ষে গত বছর সেপ্টেম্বরে শেষবার ৬২ রানের জুটি গড়েছিলেন সাদমান ও জাকির হাসান।
প্রথম বলেই তাইজুলের আঘাত, ২২৭ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে
প্রথম দিনের দুই সেশনে দাপট দেখালেও শেষ সেশনে ব্যাটিং ধসে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। ২ উইকেটেই ১৭৭ রান থেকে জিম্বাবুয়ে দিনশেষ করে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে। তাইজুল ইসলাম ৫ উইকেট নিয়ে গতকাল তাদের এলোমেলো করে দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সফরকারীদের অলআউট করা যায়। এই লক্ষ্যে দিনের প্রথম বলেই মুজারাবানিকে ফেরায় তাইজুল। এতে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানেই অলআউট জিম্বাবুয়ে। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিলেন তাইজুল।
তাইজুলের ঘূর্ণিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের