মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, তরুণেরা মৎস্যখাতে কাজ করার জন্য যে আগ্রহ দেখাচ্ছে, এটা অত্যন্ত উৎসাহের বিষয়। কিন্তু মৎস্যকে শিল্প বানালে এর মূল চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে। 

শনিবার সকালে বাংলাদেশের মৎস্যখাতের উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন ও তরুণ উদ্যোক্তাদের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী ফিশারিজ এন্টারপ্রেনার সামিট-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা মাছে ভাতে বাঙালি বলি। কিন্তু আমাদের তরুণ প্রজন্ম কি মাছে ভাতে বাঙালি। ওরা কিন্তু পোল্ট্রি ভাতে বাঙালি হয়ে যায়। অনেক সময় ডিম আর মাংস ছাড়া খেতে চায় না। নতুন প্রজন্মকে মাছ খাওয়াতে হবে।

তিনি বলেন, পানি দূষণ ও জলাশয় ভরাটের কারণে মাছ উৎপাদন ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদের দেশে এত বৈচিত্র্যময় মাছ আছে। এর সঙ্গে বৈচিত্র্যময় পরিবেশও আছে। তবে দুঃখের বিষয় আমাদের নদীগুলো দূষিত হয়ে গেছে। কৃষিতে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে। আমাদের জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আর এভাবে চলতে থাকলে মাছ টিকবে না। সমস্যাগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হওয়ায় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন যেন আমরা করতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিজম্যান মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান, বিজম্যান মিডিয়া লিমিটেডের প্রধান উপদেষ্টা মো.

আবু বকর সিদ্দিক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট আম দ র মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

জর্ডানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে জর্ডানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। বিশেষ করে, রাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) দূতাবাসের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জর্ডানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো সময় নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করতে পারে। সে কারণে বাংলাদেশিদের স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা ও সতর্কতামূলক বার্তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সাইরেন বাজালে তাৎক্ষণিকভাবে কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।  

জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিক হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে +৯৬২৭৮১৬৪০০৮১ (হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো) নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস এ সংকটকালে সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে সচেতন ও সতর্ক থেকে চলাফেরা করার পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ