ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সিরিয়ার পুনর্গঠন সহায়তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে যাচ্ছে। আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়া পুনর্গঠনের জন্য যেসব শর্তে শিথিল করা হচ্ছে, তাতে মূলত পরিবহন, শক্তি এবং আর্থিক লেনদেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সিদ্ধান্তটি আগামী সোমবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কাউন্সিলের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। এটাকে একটি দীর্ঘ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগে এ বিষয়ে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছেছিল, যা এখন কার্যকর হতে যাচ্ছে।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কেজা কাল্লাস জানান, নিষেধাজ্ঞাগুলো ধাপে ধাপে শিথিল করা হবে। সিরিয়ার নতুন সরকার তাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে ব্যর্থ হলে শিথিলকৃত নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করা হতে পারে। দ্য নিউ আরব।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’