মাহমুদউল্লাহ ফিরলে বাইরে যাবেন কে
Published: 22nd, February 2025 GMT
আজকের দিনের সবচেয়ে বড় খবর, মাহমুদউল্লাহ অনুশীলনে ব্যাটিং করেছেন। দুবাইয়ে প্রথম দিন অনুশীলন করেই পায়ের মাংসপেশিতে চোট, খেলা হয়নি ভারত ম্যাচে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইসলামাবাদে কি আগামী পরশু খেলবেন? প্রশ্নটার উত্তর নিশ্চিত করে দেওয়া যায়নি আজ বিকেল পর্যন্তও। তবে দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের পুরোদমে অনুশীলনে ফেরা স্বস্তির সুবাতাস তো দেয়ই।
রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে আগামী পরশু ম্যাচের আগে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড দুই দলের অবস্থা দুই রকম। দুবাইয়ে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হারা প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে পরের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহকে পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। সমান্তরালে এই প্রশ্নটাও আসে—তিনি ফিরলে দলের বাইরে যাবেন কে?
অন্যদিকে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৬০ রানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো শুরু পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার উইল ইয়ং আর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান টম ল্যাথামের সেঞ্চুরির সঙ্গে মাইকেল ব্রেসওয়েলের ৩৯ বলে ৬১ রানের ইনিংসে মোটামুটি পরিষ্কার—যথেষ্ট সময় পেয়ে পাকিস্তানের কন্ডিশনের সঙ্গে ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছেন তাদের ব্যাটসম্যানরা।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’