যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবু, সাধারণ সম্পাদক খোকন
Published: 22nd, February 2025 GMT
যশোর জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব হাতে নিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও দেলোয়ার হোসেন খোকন। সাধারণ সম্পাদক পদে শুধুমাত্র দেলোয়ার হোসেন খোকন মনোনয়ন কেনায় আগেই তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওই পদে নির্বাচিত হন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জেলা সম্মেলন শেষে বাকী পদগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটের আয়োজন করা হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন মিজানুর রহমান খান। এ পদে মারুফুল ইসলাম তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদে বিজয়ী হয়েছেন রবিউল ইসলাম, মুনীর আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু ও শহিদুল বারী রবু। এ পদে পরাজিত হয়েছেন কাজী আজম।
উল্লেখ, শনিবার দুপুর ২টা থেকে আলমগীর সিদ্দিকি হলে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। পরে ভোট গনণা শেষে রাত সাড়ে আটটায় টাউন হল মাঠে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমান উল্লাহ আমান।
এ সময় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এসময় নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো.
ঢাকা/রিটন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র হয় ছ ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।