Samakal:
2025-11-03@23:54:57 GMT

নওফেলের হিসাবে শতকোটি টাকা

Published: 22nd, February 2025 GMT

নওফেলের হিসাবে শতকোটি টাকা

সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে ‘চট্টলদরদি’ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু তাঁর ছেলে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪১টি হিসাবে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জমা এবং ৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য পায় দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুদক। মামলার এজাহারে সন্দেহজনক এ লেনদেনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল মামলাটি দায়ের করেন।
যদিও নওফেল তাঁর আয়কর নথিতে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৮১০ টাকার স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। এর মধ্যে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৬১৮ টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী ইমার বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মেয়র রেজাউল ও কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ: মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এম রেজাউল করিম চৌধুরী সহজ-সরল হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু মেয়র হওয়ার পর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ফাইল থেকে ৫ শতাংশ হারে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও তিনি চসিকে কোন অনিয়ম–দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে বারবার দাবি করেছেন। কিন্তু দুদক তার বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন। তার বিরুদ্ধে ওয়াকফ সম্পত্তির খাস কালেকশনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। দুদক তার বিদেশ যাত্রা ঠেকাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছে। 
অপর তিন কাউন্সিলরের মধ্যে জিয়াউল হক সুমন চট্টগ্রাম বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় টেন্ডারবাজি, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও কালোবাজারি করে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ। কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রেলওয়ের জায়গা দখল করে বাণিজ্য, টেন্ডারবাজিসহ দুর্নীতির মাধ্যমে কোটিপতি বনে যাওয়া এবং কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে সরকারি পাহাড় বিক্রি করা, চসিকের অর্থ আত্মসাতসহ না অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ