এয়ার ইন্ডিয়ার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন মন্ত্রী
Published: 23rd, February 2025 GMT
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ভাঙা সিটের টিকিট বিক্রি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
গতকাল শনিবার এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, এয়ার ইন্ডিয়া ‘যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা’ করছে।
তিনি জানান, ভাঙা সিটের ব্যাপারে বিমানের এক ক্রুকে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁকে বলা হয়, সিটটিতে যে ত্রুটি রয়েছে, সেটি সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। এর টিকিট বিক্রি না করতেও বলা হয়েছিল।
এক্সে শিবরাজ সিং লেখেন, ‘পুসার কিষাণ মেলা উদ্বোধন করতে আজ আমার ভোপাল থেকে দিল্লি আসতে হয়। সেখানে বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়। আমি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট নাম্বার এআই৪৩৬ এ একটি টিকিট বুক করি। আমাকে ৮সি সিটটি দেওয়া হয়। বসতে গিয়ে দেখি সিটটি ভাঙা; নিচু হয়ে আছে। সেখানে বসতে অস্বস্তি হচ্ছিল।’ এনডিটিভি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানায় ঢুকতে বাধা দিলেন বিএনপিকর্মীরা
মানিকগঞ্জে অবস্থিত জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়্যারহাউসে শ্রমিকদের ঢুকতে বাধা দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার সকালে সদর উপজেলার গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিন-চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর অল্প কিছু শ্রমিক এদিন কাজে যোগ দেন। ওই প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা ও আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিগত সরকারের সময় থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা, আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগসহ ওয়্যারহাউস পরিচালনার যাবতীয় কাজ করে আসছিল জাকির ট্রেডার্স। এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। সম্প্রতি তাঁর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে জেটি ইন্টারন্যাশনাল। নিয়ম মেনে তারা চট্টগ্রামের এক ঠিকাদারকে কাজ দেন। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গে সব চুক্তি বাতিলের দাবি করে আসছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা পছন্দের প্রতিষ্ঠান এম এস ট্রেডার্সের সঙ্গে চুক্তি করতে জেটি ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তাদের চাপ দেন। বিষয়টি নিয়ে শনিবার সকালে তাদের সঙ্গে স্থানীয় ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীর তর্কাতর্কি হয়।
এর জের ধরে সকাল ৮টার দিকে বিএনপি কর্মীরা সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের কারখানায় ঢুকতে বাধা দেন। এ সময় ফটক বন্ধ করে দেওয়ায় আউটসোর্সিংয়ের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক ভেতরে যেতে পারেননি। তিন-চার ঘণ্টা অপেক্ষা করে তাদের বেশির ভাগই চলে যান। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে অল্প কিছু শ্রমিক এদিন কাজে যোগ দেন।
বিএনপির নেতাকর্মীর ভাষ্য, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই ওয়্যারহাউসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের একাধিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের বিষয়টি তোলা হয়। কিন্তু জেটিই কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চান না। তাই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ওয়্যারহাউসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে সেখানে যাওয়া নেতাকর্মীরা মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এদিন বিএনপি নেতা আবুল কালাম, সদর উপজেলা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, জাগীর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবু, সদর থানা কৃষক দলের সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম সাজলু, বিএনপির নেতা ফরিদুজ্জামান ফরিদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান রবিনসহ ২০-২৫ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতা আতাউর রহমান আতার ভাষ্য, ‘কোম্পানির লোকের সঙ্গে আগেই কথাবার্তা ছিল, ফ্যাক্টরির চলমান কাজ স্থানীয় নেতাকর্মী দিয়ে করানো হবে। কোম্পানি সেই কথা রাখেনি। ফলে ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা শ্রমিকদের ফ্যাক্টরিতে ঢুকতে বাধা দিয়েছে।’
জেটিআই বাংলাদেশ লিমিটেডের সিকিউরিটি ইনচার্জ সাইদুজ্জামান বলেন, শ্রমিকদের ওয়্যারহাউসে ঢুকতে দেননি স্থানীয় কিছু লোক। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা আউটসোর্সিংয়ের ঠিকাদারি, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা করতে আগ্রহী। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম মেনে ভেন্ডার লাইসেন্স জমা দিতে বলেছেন। তারা কাজ করলে তাঁর প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। তবে এজন্য প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের ঢুকতে না দেওয়া কাম্য নয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন। তিন ঘণ্টা পর শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।