ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘বোমা’ হামলায় বিএনপি নেতা আহত
Published: 23rd, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সন্ত্রাসীদের ‘বোমা’ হামলায় ইছাপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনাম খাঁ (৩৫) আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর মোড়ে হামলাটি হয়।
বিজয়নগর থানার সেকেন্ড অফিসার মনির হোসেন বলেন, “আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হবে। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধে চিত্রনায়িকা দিতির বাড়িতে হামলা, আহত ২
রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, নারী নিহত
আহত এনাম খাঁ ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে।
এনাম খাঁ বলেন, “রাতে মির্জাপুর মোড়ে দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে চা পান করছিলাম। এসময় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে করে এসে আমাদের সামনে তিনটি বোমা নিক্ষেপ করে চলে যায়। হামলায় আমার হাতের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। বোমার আওয়াজে আমরাসহ আশপাশে থাকা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পরি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।”
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আহত
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।