জ্বলন্ত মোমবাতি কী করে

এ বছর ফেব্রুয়ারিতে নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, মোমবাতি থেকে নির্গত ধোঁয়া শ্বাসের সঙ্গে মানবদেহে প্রবেশ করলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হ্রাস পায়, সম্ভবত মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। যৌথভাবে গবেষণাটি করেছে বার্মিংহাম এবং ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণাকালে একটি বদ্ধ ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে এক ঘণ্টার জন্য কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে রাখা হলে দেখা যায়, মনোযোগ এবং আবেগ প্রয়োজন হয়, এমন কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ওই গবেষণায় বলা হয়, বদ্ধ ঘরে কখনোই মোমবাতি জ্বালানো উচিত নয়, এমনকি খুব অল্প সময়ের জন্যও নয়।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্যও বলছে, ঘরের ভেতরের বাতাস দূষিত হওয়ার একটি বড় কারণ মোমবাতি। এ বিষয়ে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানবিষয়ক অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান ফ্র্যাং বলেন, ‘মোমবাতি আমাদের আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। তবে এর প্রভাব আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না।’

সেন্টেড ক্যান্ডেল জ্বলন্ত অবস্থায় ফর্মালডিহাইড নির্গত করে, যা ত্বক, কণ্ঠনালি, ফুসফুস ও চোখের ক্ষতি করে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম মব ত

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ