মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান ফটকের ডিজিটাল স্ক্রিনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করা একটি স্লোগান ভেসে ওঠে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ডিজিটাল স্ক্রিনের স্লোগানটিতে লেখা ছিল, ‘২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করতে চাই—গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডিজিটাল স্ক্রিনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবুল হাশেম বলেন, ডিজিটাল স্ক্রিনে পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ স্লোগান যাঁরা প্রচার করেছেন, তাঁরা ফ্যাসিস্টদের দোসর। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কেন এমন লেখা ভেসে উঠল? এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নিজেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিবিরকর্মী পরিচয় দিয়ে সিভিল সার্জন মো.

মনজুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিপরীতে ছিলাম। ছাত্র অবস্থায় ছাত্রশিবিরের কর্মী ছিলাম। ডিজিটাল স্ক্রিনে যে লেখা ভেসে উঠেছিল, সেটি তামাক বিষয় নিয়ে লেখা ছিল। গত ৫ আগস্টের পর ডিজিটাল স্ক্রিনটির সুইচ বন্ধ ছিল। শনিবার রাতে নৈশপ্রহরী ভুলে সুইচটি চালু করে ফেলেন। এটি মানবিক ভুল ছিল। এটা জেনেশুনে দেওয়া হয়নি।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ