বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া নিয়ে ফের মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল যেন তারা ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোট দিতে পারে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ট্রাম্প।

এর আগে, গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “২৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে, যার নাম কেউই শোনেনি। ২৯ মিলিয়ন ডলার! তারা চেক পেয়েছে। কল্পনা করতে পারেন?”

আরো পড়ুন:

সরকারি কর্মচারীদের কাজের হিসাব চাইলেন মাস্ক, না দিলেই বিদায়

বাংলাদেশে পাঠানো ২৯ মিলিয়ন ডলার গিয়েছিল দুই কর্মীর প্রতিষ্ঠানে: ট্রাম্প

সমালোচনা করে ট্রাম্প আরো বলেন, “তোমার একটা ছোট প্রতিষ্ঠান আছে, এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, ওখান থেকে ১০ হাজার ডলার করে পায়, আর তারপর হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়ে যায়! ওই প্রতিষ্ঠানে মাত্র দু’জন লোক কাজ করে। দু’জন! আমি মনে করি, তারা খুব খুশি। তারা এখন অনেক ধনী হয়ে গেছে। শিগগিরই তারা একটা নামকরা বিজনেস ম্যাগাজিনের কভারে চলে আসবে- মহাপ্রতারক হিসেবে!”

শনিবার সিপিএসি সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউএসএআইডির তহবিল নিয়ে আবারো সমালোচনা করেন।তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণের বিষয়টি ব্যবহার করা হয়েছে উগ্র বামপন্থি কমিউনিস্টদের ক্ষমতায় আনতে। বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার গেছে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলকে শক্তিশালীকরণ ও তাদের সহায়তা করতে; যাতে তারা উগ্র বাম কমিউনিস্টদের ভোট দিতে পারেন।”

বাংলাদেশ ছাড়াও ট্রাম্প ভারতে খরচ করা ১৮ মিলিয়ন ডলারেরও সমালোচনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে নির্বাচনের জন্য ১৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। কেন? আমাদের নিজেস্ব নির্বাচনে সহায়তা করা উচিত, তাদের নয়।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় কমানো এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য ইলন মাস্কের নেতৃত্বে নতুন দপ্তর ‘ডিওজিই’ চালু করেন ট্রাম্প। এই দপ্তরের সুপারিশে সম্প্রতি ১১টি দেশে ইউএসএআইডির মোট ১৭টি মার্কিন সাহায্য প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলারের রাজনৈতিক পরিবেশ শক্তিশালীকরণের প্রকল্প ও ভারতে ২১ মিলিয়ন ডলারের ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর প্রকল্পও রয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ