চবিতে প্রডাক্টিভ রমাদান অনুষ্ঠিত
Published: 23rd, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান-২০২৫’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ‘মিনার’ এর আয়োজনে সিম্পোজিয়ামটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন, ‘মিনার’ এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহিম। সিম্পোজিয়ামে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত আমেরিকান লেখক, স্কলার ও দ্য ইসলামিক সেমিনারি অব আমেরিকার ডিন ড.
আলোচনার শুরুতে ‘ইনকিলাব, জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে ড. ইয়াসির ক্বাদি বলেন, “গত বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে প্রোডাক্টিভ রমাদান অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। একটি মুসলিমপ্রধান দেশে এমন অনুষ্ঠানে কীভাবে হামলা করতে পারে, তা আমাকে সত্যিই অবাক করে। কিন্তু এ বছর বাধাহীনভাবে প্রডাক্টিভ রমাদান অনুষ্ঠান হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “ভুলে গেলে চলবে না, পৃথিবী এক সময় মুসলিমরাই শাসন করত। কিন্তু আজ মুসলিমদের কি হলো? মুসলিমরা এখন শতধাবিভক্ত, ফেরকাবাজিতে লিপ্ত। একতা ছাড়া ইসলামের বিজয় অসম্ভব। ইসলাম ও কোরআনের সঙ্গে লেগে থাকলে দুনিয়া এবং পরকালে মুক্তি সম্ভব। রমাদান থেকে প্রডাক্টিভিটি নিয়ে জীবনকে সাজাতে হবে।”
আলোচনা শেষে উপস্থিত শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ড. ইয়াসির ক্বাদি।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।