শহীদ আলতাফ মাহমুদের স্ত্রীর ইন্তেকাল
Published: 23rd, February 2025 GMT
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের সুরকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদের স্ত্রী সারা আরা মাহমুদ মারা গেছেন।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২৫মিনিটে রাজধানীর বাংলা মটরে বিয়াম গলি সংলগ্ন নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সারা আরা মাহমুদ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের সাবেক পরিচালক। তিনি অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী শিমুল ইউসুফের বড় বোন।
শহীদ আলতাফ মাহমুদ ও সারা আরা মাহমুদের একমাত্র সন্তান শাওন মাহমুদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি ফেসবুকে লিখেন, ‘মা নাই। চলে গেছে।’ তিনি ফেসবুকে আরও জানান, আজ সোমবার বাংলা মটর নুরনগর জামে মসজিদে যোহরে নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
শাওন মাহমুদ সমকালকে বলেন, ১৮ জানুয়ারি তার মায়ের হিপ রিপ্লেসমেন্ট অপারেশন সম্পন্ন হয়। পরে প্রায় দশদিন তিনি হাসপাতালে ছিলেন। এরপর থেকে বাসাতেই শয্যাশায়ী ছিলেন। তবে গত চারদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’